ধর্মীয় এবং বিশ্বাসের ভিত্তিতে বিভেদমূলক ব্যবহার করা (চাকুরী বা কাজের জায়গায়)
DISCRIMINATION ON GROUNDS OF RELIGION OR BELIEF
২০০৩ সালের ২রা ডিসেম্বর থেকে কর্মক্ষেত্রে, কোন ব্যক্তির ধর্ম বা কোন বিশেষ ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য তাদের প্রতি বিভেদমূলক ব্যবহার করা বে আইনি। আইনে এই ধর্ম বা কোন বিশেষ ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাসের মানে হল, যে কোন ধর্ম, ধর্মীয় বিশ্বাস অথবা এই ব্যপারে কোন রকমের বিশেষ দৃষ্টভঙ্গি। এই বিস্তারিত সংজ্ঞার মানে হল, এর ভিতরে সব বড় বড় ধর্মগুলি পড়ে। এ ছাড়াও ছোট ছোট ধর্মীয় দলগুলি এবং নানান ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাসগুলিও এর অন্তর্ভূক্ত, যেমন - হিউম্যানিজম। এর ভিতর শান্তিবাদ এবং এমন কি নিরামিষাসিরাও থাকতে পারেন। এর ভিতর সাধারনত কোন রাজনৈতিক মতবাদকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে না, তবে যদি এই মতবাদ সমস্থ পৃথিবীকে এক করে দেখার উপর প্রভাব বিস্তার করে, তাহলে সেটা এই অন্তর্ভূক্ত করাহতে পারে। তার মানে হল যে কনজারভেটিভ পার্টির একজন সদস্যের এই আইনের ফলে কোন উপকার হবে না কিন্তু গ্রীন পার্টির একজন সদস্যের হতে পারে।
প্রত্যক্ষ বৈষম্য
যখন কর্মচারী অথবা চাকুরী প্রার্থী কোন একটি বিশেষ ধর্ম বা বিশ্বাসকে অনুসরন করা বা না করার জন্য, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিকূল আচরন করা হয়, তাকেই বলা হয় প্রত্যক্ষ বৈষম্য। তার মানে হল যদি কোন ব্যক্তিকে একটি বিশেষ ধর্ম বা বিশ্বাসকে অনুসরন করা বা না করার জন্য চাকুরী না দেওয়া হয় অথবা বরখাস্ত করা হয়, অথবা তাকে ট্রেইনিং বা পদন্নোতি থেকে বঞ্চিত করা হয়, অথবা তাকে চাকুরীর প্রতিকূল সর্ত দেওয়া হয়, অথবা তাকে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে সেটা হয় প্রত্যক্ষ বৈষম্য।
কয়েকটি সীমিত অবস্থায় ‘জেনুইন অকুপেশনাল রিক্রুটমেন্ট (GOR)/আসল পেশাগত চাকুরীতে নিযুক্ত করার’ প্রয়োজন আছে। তার মানে হল যে কোন বিশেষ ধর্ম অবলম্বনকারী ব্যক্তিকে সেই চাকুরীতে নিযুক্ত করা হয়েছে। তবে এই জেনুইন অকুপেশনাল রিক্রুটমেন্ট (GOR)/আসল পেশাগত চাকরীতে নিযুক্ত করার সম্বন্ধে যে কোন ব্যক্তি প্রশ্ন করতে পারেন এবং এটার যৌক্তিকতা প্রমান করার দায়িত্ব সর্ব্বদাই নিযুক্তকারীর উপর ন্যস্ত থাকে। এই জেনুইন অকুপেশনাল রিক্রুটমেন্ট (GOR)/আসল পেশাগত চাকুরীতে নিযুক্ত করার ব্যপারে তাদের প্রমান দেখিয়ে তাদের দাবীর প্রমান করতে হবে। নিযুক্তকারীর এই জেনুইন অকুপেশনাল রিক্রুটমেন্ট (GOR)/আসল পেশাগত চাকুরীতে নিযুক্ত করার প্রয়োজন আছে বলার আগে এটা খুব ভাল করে বিবেচনা করে দেখা উচিত্।
পরোক্ষ বৈষম্য
যখন কোন কোম্পানি অথবা সংস্থা কোন ব্যবস্থার মান অথবা কাজের ধরন, যেগুলি সেখানকার সব কর্মীদের, চাকুরী প্রার্থীদের, তারা যে ধর্মাবলম্বীই হন না কেন, তাদেরকে এই ক্ষেত্রে তাদের ধর্ম অন্যান্য লোকেদের ধর্মের মত এক করে ধরা হয়। এভাবে যখন সকলকে একই দলে ফেলা হয়, তখন যে সকল ব্যক্তি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তাদেরকে প্রতিকূল অবস্থায় ফেলা হয় এবং একেই বলা হয় পরোক্ষ বৈষম্য। এই ব্যবস্থাকে কোন বৈধ লক্ষ্যে পৌছাবার সঙ্গত পথ বলে দেখানো যাবে না। এর একটা উদাহরন হল, কোন বিশেষ ধর্মীয় ব্যক্তিরা তাদের মাথা ঢেকে বা খুলে রাখার ব্যপারে বিশেষ ধর্মীয় বিশ্বাস আছে। কোন কর্মক্ষেত্রে এই সম্বন্ধে বিশেষ নীতি থাকতে পারে। যেমন, এই ব্যবস্থা যদি খাবার তৈরীর ব্যপারে হয় তাহলে এটা আইন সন্মত হতে পারে।
হয়রান করা
যে ব্যবহারের দ্বারা কোন একজন ব্যক্তির মর্য্যাদা ক্ষুন্ন করা হয় এবং আক্রমনাত্মক, ভীতিমূলক অথবা কোনভাবে তার উপর মানসিক চাপের সৃষ্টি করা হয়, তাকে বলা হয় হয়রানি। এর ভিতর থাকতে পারে ইচ্ছা করে নিপীড়ন করা, যেটা পরিস্কার ভাবে বোঝা যায়। তবে এটা খুব মৃদুভাবেও করা যেতে পারে, যেমন - খারাপ ধরনের উপনাম অথবা খারাপ নাম ধরে ডেকে পীড়ন করা। এই ধরনের ব্যবহার কোন ব্যক্তিকে খুবই মানসিক পীড়া দিতে পারে এবং নিযুক্তকারীদের এই অভিযোগকে গুরুতর বলে মনে করতে হবে এবং এই বিষয়ে তারা তদন্ত করতে বাধ্য।
নিপীড়ন করা
যখন কোন ব্যক্তি নালিশ করেছেন বা নালিশ করার উদ্দেশ্য আছে, অথবা অন্য কোন ব্যক্তি যিনি নালিশ করেছেন তাকে সাহায্য করার জন্য তার প্রতি ক্ষতিকারক ব্যবহার করা হয়, সেটাকে বলা হয় নিপীড়ন করা।
দায়ি থাকার বাধ্যবাধকতা
একজন নিযুক্তকারী কর্মকর্ত্তা বা সংস্থা অথবা অন্য কোন ব্যক্তিদের, যাদের উপর কোন অবস্থা সামলানোর বা সংশোধন করার দায়িত্ব আছে, তারা কর্মচারীদের আচরনের জন্য দায়ী থাকবেন। তারা যদি তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন না করেন তাহলে, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবী করার অধিকার আপনার থাকবে।
আইনের বাধ্যতামূলক প্রয়োগ
এমপ্লয়মেনট ট্রাইবুনালে যৌন আকর্ষনের ব্যপারে বৈষম্যমূলক ব্যবহার সম্বন্ধে নালিশ করে এই আইনের বাধ্যতামূলক ব্যবহার করা হয়। ট্রাইবুনালে নালিশ করার আগে নিযুক্তকারী সংস্থার যে নিজস্ব অভিযোগের ব্যবস্থা আছে, সেই ব্যবস্থাকে সম্পূর্নভাবে ব্যবহার করা নিশ্চিত করা উচিত্। ঘটনা ঘটার তিন মাসের ভিতর অথবা অনেকগুলি ঘটনা পর পর ঘটে থাকে, তাহলে শেষ ঘটনা ঘটার তিন মাসের ভিতর আপনাকে ট্রাইবুনালে নালিশ জানাতে হবে।
আপনি এই বৈষম্যের ব্যপারে আইনের কোন সাহায্য পাবেন কি না অথবা এই ঘটনা আপনার পক্ষে কতটা জোরদার, সেই বিষয়ে প্রথম থেকেই আইনের উপদেশ নেওয়া উচিত্।
This documents was provided by Coventry law Centre, February 2004, www.covlaw.org.uk