multikulti

অটিজম/বাল্যকালীন বৃদ্ধিতে বিশৃঙ্খলা কি ?

What is autism?

যদিও অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা ১৯৪৩ সালে সনাক্ত করা হয়েছে, তবুও আজ পর্য্যন্ত এই অক্ষমতা সম্বন্ধে বেশী কিছু জানা যায় নি। এটা মনে করা হয় যে এই অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলার ব্যপকতা সারা ইউ কে তে ৫০০,০০০ লোকের উপর প্রভাব বিস্তার করে।

যাদের অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা আছে তারা হয়ত, মস্তিষ্কের পক্ষাঘাত বা সেরেব্রেল পজি গ্রস্থ ব্যক্তিদের মত শারীরিক বিকলাঙ্গতায় ভোগেন না। তাদের হয়ত হুইল চেয়ারের প্রয়োজন হয় না এবং যে সকল ব্যক্তিদের বিকলাঙ্গতা নেই এরা ঠিক তাদের মতই “দেখতে” হন, এবং সেই কারনে তাদের এই অবস্থা সম্বন্ধে সচেতন হওয়া এবং তাদের অবস্থা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।

“যেহেতু একটা বাচ্চা যে” অটিজমে বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলতায় ভোগে সে দেখতে ‘স্বাভাবিক’, সেইহেতু অন্যরা মনে করেন যে তারা দুষ্টু এবং তাদের পিতামাতারা তাদের সামলাতে পারেন না। অজানা অচেনা ব্যক্তিরা প্রায়শ:ই এই ‘ব্যর্থতা’ সম্বন্ধে মন্তব্য করে থাকেন।”

যে ব্যক্তি যত্ন নিয়ে থাকেন/কেয়ারার

অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা কি?

অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা হচ্ছে সারাজীবন ধরে মানসিক বৃদ্ধির বিকলাঙ্গতা, যেটা একজন ব্যক্তির আশেপাশের অন্যান্য ব্যক্তিদের প্রতি মনোভাব প্রকাশ করার বা যোগাযোগ করার উপর প্রভাব বিস্তার করে। শিশুরা এবং বয়স্ক ব্যক্তি যারা অটিজমে বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলায় ভুগছেন, তাদের অন্যদের সঙ্গে অর্থপূর্নভাবে যোগাযোগ করা কঠিন। তাদের বন্ধুত্ব করার এবং অন্যান্য লোকেদের আবেগপূর্ন অনুভূতির প্রকাশ বুঝবার ক্ষমতা কম।

যাদের অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা আছে তাদের মধ্যে অনেকেরই এই অক্ষমতার সঙ্গে প্রায়শই শিক্ষাগ্রহনের ক্ষমতাও কম থাকতে পারে, তবে তাদের সকলের পক্ষেই চারদিকের পরিবেশ এবং দুনিয়া সম্বন্ধে একটা অর্থপূর্ন মানে বের করা কঠিন হয়ে পড়ে।

অটিজমের আরও একটা অবস্থা আছে যাকে বলা হয় আসপারগার সিন্ড্রোম বা লক্ষন। সেটাও হচ্ছে একধরনের অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা এবং সাধারনত এটাকে অটিস্টক স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলার ব্যপকতার, গভীর দিকের লক্ষন বলে বর্নন্ করা হয়। এই বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য আমাদের আসপারজার সিন্ড্রোম কি লিফলেটটি দেখুন।

‘একজন অটিজমে ভুক্তভোগি ব্যক্তির কাছে বাস্তব হচ্ছে বিভ্রান্তকর। অনেক ঘটনা, মানুষ, স্থান, শব্দ এবং দৃষ্টিশক্তির পারস্পরিক ক্রিয়া। এই ব্যপারে তাদের কাছে কোন কিছুরই নির্দিষ্ট বাঁধাধরা সীমা বা বিন্যাস অথবা অর্থ নেই। আমার জীবনের একটা বিরাট অংশ আমি ব্যয় করেছি সবকিছরই পেছনে কি ধরনের নমুনা আছে সেটা বুঝতে ।’

একজন ব্যক্তি যিনি অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলায় ভুগছেন

অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলার বৈশিষ্ঠ্য কি কি?

যে সকল ব্যক্তিরা অটিজমে বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলায় ভোগেন তারা সাধারনত তিন ধরনের প্রধান অসুবিধায় ভোগেন। এগুলিকে বলা হয় ট্রায়াড ইমপেয়ারমেন্টস বা তিনধরনের ক্ষতিসাধন বা দুর্বলতা।

  • সামাজিকভাবে অন্যদের সঙ্গে পারস্পরিক ক্রিয়া (সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলাতে সমস্যা, যেমন দেখা যায় যে তিনি একলা থাকতে ভালবাসেন, অন্যদের সম্বন্ধে ভাবেন না।)
  • সামাজিক যোগাযোগ (কথাবর্তার মাধ্যমে এবং কথাবর্তা না বলেও যোগাযোগ করার অসুবিধা, যেমন সাধারন ভঙ্গি, মুখের ভাব অথবা গলার স্বরের মানে পরিস্কারভাবে বুঝতে না পারা।)
  • কল্পনা (অন্যদের সঙ্গে খেলাধূলা করা এবং সেই ব্যাপারে কল্পনা করায় অসুবিধা, যেমন, কাল্পনিক ক্রিয়াকর্ম, সম্ভবত অন্যদের নকল করা এবং ঠিকমত বারে বারে অনুসরন করা)।

এই তিনধরনের ক্ষতিসাধন বা দুর্বলতা।ছাড়াও বার বার একই ব্যবহার করা এবং কোন কিছুর পরিবর্তনে বাঁধা দেওয়া, বিশেষ করে দৈনিক নিয়মাবলী এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ঠগুলি।

কি কি কারনে অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা হয়?

কোন বিশেষ কারনে বা কারনগুলিতে অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা হয় সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায় যে জন্ম বা বংশ পরম্পরা এই সম্বন্ধে উল্লেখযোগ্য। গবেষণার ফলে এটা পরিষ্কার দেখা গেছে যে অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা হওয়ার কারন হয়ত জন্মের আগের, জন্মের সময়ের অথবা জম্নের অল্প পরের নানারকমের অবস্থা একসঙ্গে এর জন্য দায়ী হতে পারে।

রোগ নির্নয়

একজন ব্যক্তির অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা আছে সেটা যত তাড়াতাড়ি নির্নয় করা যায় ততই ভাল। কারন এর ফলে তার জন্য যে যথাযথ সাহায্যের প্রয়োজন সেটা ভালভাবে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা যাদের আছে তাদের কি সাহায্য করা যায়?

বিশেষ শিক্ষা এবং গঠনমূলক সাহায্যের দ্বারা একজন ব্যক্তি, যার অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা আছে, তার জীবনে সত্য সত্যই পরিবর্তন আনা যায়। তার যে দক্ষতা আছে সেটা বৃদ্ধিতে সাহায্য করা যায় এবং পরিনত বয়সের সম্পূর্ন কার্যকারীতা উপভোগ করতে পারেন।

দি ন্যাশনাল অটিষ্টিক সোসাইটি

দি ন্যাশনাল অটিষ্টিক সোসাইটি স্থাপিত হয়েছে ১৯৬২ সালে এবং এটি যাদের অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা আছে তাদের, এবং যারা সেই সকল ব্যক্তিদের যত্ন নেন, তাদের সম্বন্ধে বৃটেনের সর্বপ্রধান সংস্থায় পরিনত হয়েছে। এই সংস্থা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা লোকেদের সামনে তুলে ধরার জন্য প্রধান ভুমিকা নিয়েছে। যে সকল ব্যক্তিরা অটিজমে বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলায় ভুগছেন তাদের পক্ষে যতটা সম্ভব স্বাধীনভাবে বসবাস করা যাতে সম্ভব সে বিষয়ে সাহায্য করার জন্য এই সংস্থা বিভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বর্ত্তমান সময়ের ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি

  • বিভিন্ন শিক্ষামূলক এবং বয়স্কদের জন্য সেন্টারগুলি চালায়।
  • স্থানীয় কাউন্সিলকে অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সেবা ব্যবস্থা উন্নয়নের ব্যাপারে সাহায্যদান করে।
  • বিভিন্ন বই এবং তথ্যপত্র প্রকাশ করে।
  • আমাদের যে লাইব্রেরী আছে, সেটা পিতামাতা এবং গবেষকরা এ়পয়েন্টমেন্ট করে ব্যবহার করতে পারেন।
  • পিতামাতা এবং যত্ন নেওয়ার ব্যক্তিদের এবং যে সকল ব্যক্তি, অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিসঅর্ডার বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলতার ব্যপকতায় ভোগেন, তাদেরকে সাহায্য করার জন্য ন্যাশনাল সোসাইটি সাহায্যের লাইন চালায়।
  • বৈঠক বা কন্ফারেন্সের এবং ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা করে।
  • জাতীয় ভিত্তিতে স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের, এবং পিতামাতাদের পরস্পরের সঙ্গে পরিচয় করানো এবং বন্ধুত্বপূর্ন আচরনের পরিকল্পনার, সমন্বয় সাধন করে।
  • বিশেষ রোগনির্নয় এবং মূল্যায়ন করার ব্যবস্তার সুযোগ দিয়ে থাকে।
  • অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা সম্বন্ধে গবেষনা করার ব্যাপারে উত্সাহ প্রদান করে।
  • সারা দেশ জুড়ে স্থানীয় দলগুলিকে এবং পরিবারদের সাহায্য প্রদান করে থাকে।
  • অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা সম্বন্ধে জনসাধারন যাতে ভাল করে বুঝতে এবং জানতে পারে সেই চেষ্টা চালিয়ে যায়।
  • অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে যে সকল পেশাদারী ব্যক্তিরা এবং সংস্থাগুলি কাজ করছে তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকে।
  • অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা সম্বন্ধে বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা এবং যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থার উপর কৃতিত্ব আরোপের/ক্রেডিটেশনের ব্যবস্থা করে।
  • যে সকল বয়স্ক ব্যক্তিরা অটিস্টক স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলার ব্যপকতায় ভুগছেন তাদের চাকরী পাওয়ার ব্যাপারে সহায়তার করবার জন্য জন্য প্রসপেক্ট নামক সংস্থা চালনা করে থাকে।

দি ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি

প্রধান অফিস/হেডকোয়ার্টারস

৩৯৩ সিটি রোড

লন্ডন ইসি১ভি ১এন জি

সুইচবোর্ড ০২০ ৭৮৩৩ ২২৯৯

ফ্যাক্স: ০২০ ৭৮৩৩ ৯৬৬৬

মিনিকম: ০২০ ৭৯০৩ ৩৫৯৭

E-mail: [email protected]

www.autism.org.uk

সাহায্যকারী টেলিফোন নম্বরগুলি

অটিজম হেল্পলাইন: ০৮৭০ ৬০০ ৮৫৮৫

এডুকেশন এ়ডভাইস লাইন

০৮০০ ৩৫৮ ৮৬৬৭

ফান্ডরেইজিং: ০২০ ৭৯০৩ ৩৫৫৯

তথ্য/ইনফরমেশন: ০২০ ৭৯০৩ ৩৫৯৯

প্রেস: ০২০ ৭৯০৩ ৩৫৯৩

প্রকাশনা/পাবলিকেশন: ০২০ ৭৯০৩ ৩৫৯৫

এন এ এস স্কটল্যান্ড

সেন্ট্রাল চেম্বারস

১০৯ হোপ স্ট্রীট

গ্লাসগো জি২ ৬এল এল

টেলিফোন: ০১৪১ ২২১ ৮০৯০

ফ্যাক্স: ০১৪১ ২২১ ৮১১৮

E-mail: [email protected]

এন এ এস ওয়েলস্‌

গ্লেমরগান হাউস, মনাসট্রি রোড

নিথ এ়বি এস এ১০ ৭ডি এইচ

টেলিফোন: ০১৭৯২ ৮১৫ ৯১৫

ফ্যক্স ০১৭৯২ ৮১৫ ৯১১

E-mail: [email protected]

সারভিসেস ডিভিশন - এন এ এস এর স্কুল এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের সেন্টারের বিস্তারিত বিবরনের জন্য

চার্চ হাউস, চার্চ রোড

ফিলটন, ব্রিশটল বি এস ৩৪ ৭বিডি

টেলিফোন: ০১১৭ ৯৭৪ ৮৪০০

ফ্যাক্স: ০১১৭ ৯৮৭ ২৫৭৬

E-mail: [email protected]

প্রসপেক্টস এমপ্লয়মেন্ট কনসালটেন্সি

টেলিফোন: ০২০ ৭৭০৪ ৭৪৫০

ফ্যাক্স: ০২০ ৭৩৫৯ ৯৪৪০

E-mail: [email protected]

ডেভালপমেন্ট এন্ড আউটরিচ এন্ড ট্রেইনিং

কাসল হাইটস, ৪র্থ তালা

৭২ মেইড মেরিয়ান ওয়ে

নটিংহাম এন জি ওয়ান ৬বি জে

টেলিফোন: ০১১৫ ৯১১ ৩৩৬০

ফ্যাক্স: ০১১৫ ৯১১ ২২৫৯

E-mail: [email protected]

ট্রেইনিং এন্ড কনফারেন্সেস

টেলিফোন: ০১১৫ ৯১১ ৩৩৬৩/৬৭

ফ্যাক্স: ০১১৫ ৯১১ ৩৩৬২

E-mail: [email protected]

[email protected]

ভলানটিয়ারস্‌ কো-অরডিনেশন

টেলিফোন: ০১১৫ ৯১১ ৩৩৬৯

ফ্যাক্স: ০১১৫ ৯১১ ৩৩৬২

E-mail: [email protected]

পেরেন্ট টু পেরেন্ট

টেলিফোন: ০৮০০ ৯ ৫২০ ৫২০

দি সেন্টার ফর সোসাল এন্ড কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডারস

এলিয়ট হাউস

১১৩ মেসনস্‌ হিল

ব্রমলি বি আর ২ ৯এইচ টি

টেলিফোন: ০২০ ৮৪৬৬ ০০৯৮

ফ্যাক্স: ০২০ ৮৪৬৬ ০১১৮

This document was provided by The National Autistic Society. www.nas.org.uk.

Document Links

www.nas.org.uk
The National Autistic Society web site
http://www.nas.org.uk
www.multikulti.org.uk