multikulti

আসপারগার সিন্ড্রোম/লক্ষণ: এটা বলতে আমরা কি বুঝি

Asperger syndrome: what it means to us

আসপারগার সিন্ড্রোম বা লক্ষ্মনটা কি?

আসপারগার সিন্ড্রোম বা লক্ষ্মন কি সেই সম্বন্ধে ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটির লিফলেটটি আপনি হয়ত ইতিমধ্যে পড়েছেন? আমরা হচ্ছি লন্ডনের যোগাযোগকারী সামাজিক দল এবং এই দলের বয়স্ক সদস্য হিসাবে আমরা মনে করি যে এই লিফলেটে আমাদের অভিজ্ঞতা সঠিক ভাবে দেখানো হয়নি। সেইজন্য আসপারগার সিন্ড্রোম বা লক্ষ্মন, কিভাবে প্রতিদিনের চলাফেরায় আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং কোন কোন জিনিষ আমাদের সাহায্য করছে, এই তথ্যপত্রে আমরা সেটা বর্ননা করেছি।

আমরা এখানে আমাদের অভিজ্ঞতাগুলির বর্ননা করেছি। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে যারা

আসপারগার সিন্ড্রোমে বা লক্ষনে ভোগেন তারা প্রত্যেকেই সতন্ত্র ব্যক্তি এবং তাদের প্রত্যেকের অভিজ্ঞতাই আলাদা আলাদা। তাদের প্রত্যেকেরই বিভিন্ন ধরনের বিশেষ ক্ষমতা এবং সমস্যা থাকে, এবং এর সীমাগুলিও বিভিন্ন।

আসপারগার সিন্ড্রোম বা লক্ষণ হচ্ছে একটা অক্ষমতা, যেটা হচ্ছে অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলার ব্যপকতার মধ্যে পড়ে । এটা মনে করা হয় যে যাদের আসপারগার সিন্ড্রোম বা লক্ষণ আছে, তাদের অক্ষমতা, এই ব্যপকতার উপরের দিকের সীমার কাছাকাছি।

অন্যান্য যারাএই ব্যপকতার মধ্যে পড়েন, তাদের মধ্যে এটাও নির্নয় করা হয় যে তাদের সাধারন অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলা, এবং অতিরিক্ত কার্যকরী অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলার লক্ষন থাকে। আসপারগার সিন্ড্রোম বা লক্ষন এবং অতিরিক্ত কার্যকরী অটিজম বা বাল্যকালীন বৃদ্ধির বিশৃঙ্খলাকে প্রায়ই একটার সঙ্গে আরেকটাকে বিনিময় করা হয়ে থাকে। আসপারগার সিন্ড্রোম বা আসপারজার লক্ষন কে ‘ব্যাপক বৃদ্ধির গোলযোগ’ বলে বর্ননা করা হয়। এর মানে হল যে এটা জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে।

জনের গল্প

জনের সঙ্গে প্রথম যখন কারো আলাপ হয়, তখন তারা হয়ত বুঝতে পারেন না যে জনের কোন অসুবিধা আছে। সে স্কুলে সকলের সঙ্গে যাতে মানিয়ে চলতে পারে তার জন্য সে আপ্রান চেষ্টা করেছে কিন্তু সে সব কিছুতে যোগ দিতে পারেনি এবং সে জন্য সে নিরাশ বোধ করেছে। তাকে স্কুলের খেলার দলে কখনও নেওয়া হয়নি এবং খেলার মাঠে কি করে সকলের সঙ্গে যোগ দিতে হয়, সেটা সে জানত না, তবে অঙ্ক এবং গননার(কমপিউটিং) বিষয়ে সে খুব ভাল ছিল। এ ছাড়াও সে এটা বুঝতে পেরেছিল যে তার ঠাট্টা তামাশা(জোক) মনে রাখবার এবং এর দ্বারা বন্ধুবান্ধবদের আনন্দদানের ব্যাপারে সে খুব ভাল। ১৮ বছর বয়সে তার আসপারগার সিন্ড্রোম বা লক্ষন আছে বলে নির্নয় করা হয়। পরে তার ডিসপ্রাক্সিয়া বা শারিরীক বিশৃঙ্খলতা বা এলোমেলো ভাব এবং ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপে ভুগছে বলে নির্নয় করা হয়।

যখন জন আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে এবং সে যদিও জিসিএসি (GCSE) তে এবং এ লেভেলে (A level) ভাল ফল করেছে, তবুও কলেজের পড়াশোনা তার কাছে কঠিন মনে হয়েছে। কলেজে তাকে বিশেষ সাহায্য দেওয়ার পর কলেজের পড়াশোনা তার কাছে অতটা কঠিন মনে হয়নি। কিভাবে চাকরীর জন্য ইন্টারভিউ দিতে হবে এবং কি ভাবে সারাদিন গুছিয়ে সব কাজ করতে হবে সেগুলির জন্য বিশেষ সাহায্য না পাওয়া পর্যন্ত তার পক্ষে চাকরী পাওয়া কঠিন হয়েছিল। এই সাহয্যের ফলে সে আরও নানার�